রাজশাহীর স্কুলশিক্ষক ফাতেমা খাতুনের (৩৭) শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় ওই শিক্ষকের স্বামী সাদিকুল ইসলামকে (৪০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ফাতেমা খাতুনের ভাই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় এ মামলা করেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, আসামি সাদিকুল ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আসামি সাদিকুল ইসলামের বাড়ি নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন নগরীর মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। দুই সন্তানের মা।
পরিবারের ভাষ্য মতে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফাতেমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন সাদিকুল। এতে তাঁর হাত, বুক, মুখমণ্ডল পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্বাসনালি। ঘটনার পর রাতেই ফাতেমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন গতকাল শুক্রবার সকালে আজকের পত্রিকাকে জানান, ফাতেমার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তাঁর শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। তাঁর শরীরের ২৫ শতাংশ আগুনে পুড়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।