জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিএনপির দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন প্রার্থীসহ দুই পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিলকপুর রেলস্টেশনের পাশে হামলার ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনে তিলকপুর ইউপিতে আবারও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সেলিম মাহবুব সজল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন মাত্র ৭৩ ভোটে পরাজিত হন। এদিকে বিএনপি নেতারা মনে করছেন, আজাহার আলী দুলুর কারণে বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন জিততে পারেননি। এ নিয়ে মোজাফফর হোসেনের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার তিলকপুর রেলস্টেশনে মোজাফফর হোসেন ও আজাহার আলীর দুই কর্মী-সমর্থক মোহাম্মদ আলী ও নাজমুল হুদার মধ্যে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এরপর বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আজাহার আলীর কর্মী নাজমুল হুদা বিপ্লব বলেন, ‘কথা-কাটাকাটির জের ধরে মোজাফফর হোসেন তাঁর লোকজন এসে আমাদের মারপিট করেছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাজার আলী দুলুকে হাতুড়িপেটা করেছেন। গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘নাজমুল হুদার কাছে আমার কর্মী মোহাম্মদ আলী টাকা পেতেন। সেই টাকা চাওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আমরা থামাতে গিয়ে আজাহার আলীর লোকজন আমাদের মারপিট করেছে।’ পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্রে সৃষ্ট ঘটনাকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আজাহার আলী বলেন, মোজাফফরের লোকজন আমাকেসহ আমার তিনজন কর্মীকে মারপিট করেছে। নির্বাচনের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, প্রথমে পাওনা টাকা নিয়ে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। এরপর নির্বাচনী ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এ ঘটনায় একপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।