২০ বছরের যুদ্ধ শেষে চলে যাওয়ার মাত্র এক দিন আগে ২৯ আগস্ট কাবুলের অদূরে ড্রোন (মানুষবিহীন বিমান) হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ৭ শিশুসহ ১০ জন নিহত হন। জঙ্গিদের লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে একটা সময় পর্যন্ত দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে জঙ্গির বদলে হামলায় সাধারণ আফগান নাগরিক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে। গত বুধবার এক প্রতিবেদনে ওই হামলায় ‘যুদ্ধের আইনের’ লঙ্ঘন হয়নি বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
নতুন তদন্ত শেষে মার্কিন বিমানবাহিনীর মহাপরিদর্শক সামি বলেন, ‘তথ্যগত ত্রুটির কারণে অনুতাপযোগ্য ওই ভুল হয়েছে। তবে এতে যুদ্ধের আইনের লঙ্ঘন হয়নি। কোনো অপরাধমূলকও আচরণ হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ওই হামলার আগে ২৬ আগস্ট কাবুল হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের একটি গেটে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএসকে) হামলা চালায়। এতে কয়েকজন বিদেশিসহ ১৩ মার্কিন সেনা এবং ১৫০ জনের বেশি আফগান নাগরিক নিহত হন। হামলার পর সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ সময় অনুসরণ শেষে ২৯ আগস্ট কাবুলের অদূরে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে বুধবারের প্রতিবেদনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে চাপের মুখে ওই হামলায় নিহতদের পরিবারের ইচ্ছুক সদস্যদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।