বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌর শহরে কবরস্থানে লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়ার বিরুদ্ধে। মেয়র লোকমান নিজে উপস্থিত হয়ে খোঁড়া কবর ভরাট করায় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন। তিনি চলে এলে শতাধিক মানুষ ভরাট কবরটি পুনরায় খনন করে দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।
পৌর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তুলাতলী ও শ্রীমন্ত নদের সংযোগ মুখে বাকেরগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালিত একটি গোরস্থান রয়েছে। খালের অপর প্রান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান। গোরস্থান ও শ্মশানের জমি ব্যবহার করে খালের ওপর একটি অপ্রয়োজনীয় সেতু স্থাপনের পরিকল্পনা করে আসছিলেন মেয়র লোকমান ডাকুয়া। কয়েক মাস আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি আয়রন সেতু অনুমোদিতও হয়েছিল। কিন্তু গোরস্থান ও শ্মশানের পবিত্রতা রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তি এবং সেতুটির গুরত্বহীনতার কারণে সিদ্ধান্ত বাতিল করে এলজিইডি। সেখানে নতুন করে সেতু নির্মাণের পাঁয়তারার অংশ হিসাবে মেয়র লোকমান ডাকুয়া গতকাল গোরস্থানে দাফনে বাধা দিয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব লাহেরী জানান, দিনমজুর রবীন হুডের স্ত্রী আয়েশা বেগম শনিবার রাতে মারা যান। দাফনের জন্য সকালে তাঁর কবর খোঁড়া শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেয়র লোকমান ডাকুয়া সেখানে এসে খোঁড়া কবর পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করতে বাধ্য করেন। তখন লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে মেয়র ঘটনস্থল ত্যাগ করেন।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন বলেন, দিনমজুর রবীন হুডের স্ত্রীর মৃতদেহ গোরস্থানে কবর খোঁড়া শুরু হলে মেয়র বাঁধা দেন। পরে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে মৃতদেহ বেলা ১১টায় দাফন করেন।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া সাংবাদিকদের বলেন, গোরস্থানের প্রবেশপথে কবর খোঁড়া হচ্ছিল। এতে অন্যান্য কবরের কাছে যাওয়ার পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অন্যস্থানে খুঁড়তে বলেছিলেন। গোরস্থান ও শ্মশান ক্ষতিগ্রস্ত করে সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, সেখানে পৌরসভার জমিও আছে। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করার পরিকল্পনা রয়েছে।