গাইবান্ধা জেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ শীতকালীন শাক-সবজি আসতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজিতে দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এতে ক্রেতাসাধারণের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
সরেজমিনে গত শুক্রবার গাইবান্ধার শহরের পুরোনো বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শিম ২০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, পটল ২৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা, শসা ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, পুরোনো আলু ২০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, তরই ৩০ টাকা, লাউ প্রতিটি ২০-৩৫ টাকা, ধনিয়া শাক ১০০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, সরিষা শাক ২০ টাকা, নাপা শাক ৩০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেনি আলুর দাম।
সাদুল্লাপুর বাজারে সবজি কিনতে আসা এক ব্যক্তি জানান, এক মাস ধরে শীতকালীন শাক-সবজি আমদানি হচ্ছে। শুরুর দিকে এসবের দাম ছিল আকাশচুম্বী। এরই মধ্যে দাম কমে নেমেছে অর্ধেকে। খুচরা বাজারে সবজি বিক্রেতা এমরান হোসেন জানান, সম্প্রতি আড়তে ব্যাপক সবজি আমদানি হচ্ছে। দামও কমেছে অনেকটাই। এতে করে কৃষক-ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা লাভবান হচ্ছেন।
কৃষক নাজমুল হক জানান, আগাম সবজির আবাদ করছিলেন। কিছুদিন আগে ঝড়-বৃষ্টির কারণে সেই খেতের ক্ষতি হয়েছে। তাই উৎপাদন কম হয়েছিল। এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বেড়েছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি রবি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।