পীর পরিবারের ১৯ বছরের দুর্গ ভাঙতে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমঝোতা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। এ জন্য নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ আনিছের সঙ্গে চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সালাম রাঢ়ীকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বিএনপির একটি অংশ এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সালাম রাঢ়ীকে দল থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে গত সোমবার।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিনের নির্দেশে আব্দুস সালাম রাঢ়ীকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সালাম রাঢ়ী আগে নির্বাচনে নৌকার পাশে থাকার কথা বললেও সোমবার আওয়ামী লীগের সভা কিংবা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
চরমোনাই ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্যের কথা স্বীকার করলেও ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সালাম রাঢ়ীর সঙ্গে একসঙ্গে বৈঠক করার কথা অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সমন্বয়ক সৈয়দ আনিছ।
চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম মাসুম বলেন, সালাম রাঢ়ী তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করে নৌকার সমন্বয়ক হয়েছেন।
চরমোনাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল সরকার বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আনিছ ও ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সালাম রাঢ়ীরকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী মাস্টার নুরুল ইসলাম জানান, সালাম রাঢ়ীকে সমন্বয়কারী করা হয়েছে কিনা তার জানা নেই।