হোম > ছাপা সংস্করণ

রমজান সংযম শেখায়

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

হিজরি সনের নবম মাস রমজান। এ মাসকে সংযমের মাস বলা হয়। সংযম অর্থ বিরত থাকা, পরিহার করা। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সকল অশ্লীলতা পরিহার করা ফরজ। রোজাদারকে অধিক সংযমের পরিচয় দিতে হয়। এমনকি ইফতারের সময় খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পূর্বে রোজাদার ইফতার করতে পারে না। অথচ তাকে কেউ নিষেধ করে না, বরং সে কেবল আল্লাহর ভয়েই এমন সংযম অবলম্বন করে। আর রমজানের মূল শিক্ষাই হলো আল্লাহভীতি অর্জন করা। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য সাওম ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য; যাতে তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা/১৮৩)।

রোজা অবস্থায় রোজাদারকে সকল অশ্লীল, পাপাচার, পরচর্চা ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকতে হয় এবং মিথ্যা পরিহার করতে হয়। অন্যান্য মাসে মানুষ কমবেশি মন্দ কাজ করলেও রমজান মাসে সংযম অবলম্বন করে। এ মাস সবাইকে সংযম শিক্ষা দেয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ। সুতরাং তোমাদের রোজার দিনে কেউ যেন অশ্লীল ও গর্হিত কাজ না করে। এমনকি তাকে যদি কেউ গালি দেয় অথবা তাকে হত্যা করতে আসে, সে যেন বলে আমি রোজাদার।’ (আবু দাউদ)। তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং তদনুযায়ী কাজ পরিত্যাগ করতে পারল না, তার খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি)।

সংযম অবলম্বন করলে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক রমজান থেকে অপর রমজান, তার মধ্যবর্তী সময়ের সকল পাপ মোচনকারী হবে, যদি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।’ (বুখারি)

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ