এটি বরিশাল অঞ্চলের খাবার। ভাত ও তরকারির সঙ্গে সারা বছরই খাওয়া হয়। বরিশাল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে এ খাবারটি তেমন খাওয়া হয় না।
উপকরণ
মসুর ডালবাটা, নারকেলবাটা ও চিংড়ি মাছবাটা ১ কাপ করে, হলুদের গুঁড়ো ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ২ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, নারকেল পানি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, দেড় ফুট লম্বা কলাপাতা দুটি।
প্রণালি
কলাপাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে মুছে নিয়ে সরিষার তেল মেখে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে কলাপাতার ওপরে ঢেলে চেপে চেপে আধা ইঞ্চি পুরু করে দিন। এরপর তাওয়া গরম করে তার ওপর উপকরণসহ কলাপাতা বসিয়ে ঢেকে দিন। চুলায় আঁচ খুব অল্প রাখুন। আধা ঘণ্টা পর তাওয়া থেকে সাবধানে নামিয়ে একটা সমান প্লেটে রেখে অন্য কলাপাতা প্লেটের ওপর দিয়ে আস্তে করে উল্টে দিন। এখন আবার নতুন পাতার অংশ গরম তাওয়ায় বসিয়ে ঢেকে দিন। এভাবে দুই পাশের অংশ ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার মিষ্টি ভাজা।
রেসিপি ও ছবি, সোনিয়া নাছরিন সিমি