রাঙামাটির আসামবস্তি কাপ্তাই সড়ক বন্ধ করে চলছে সড়কের ওপর স্ল্যাব ব্রিজ নির্মাণকাজ। এক বছরের বেশি সময় পার হলেও, শেষ হয়নি এ নির্মাণকাজ। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মগবান ইউনিয়নসহ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা হাজারো মানুষ।
এ নির্মাণকাজ আগামী বছর জুনে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের ধীর গতিতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের মোরঘোনা এলাকায় চলছে এই সেতু নির্মাণকাজ। তবে বিকল্প কোনো সড়ক নির্মাণ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস ট্রেডার্স। সেতুর পাইল ক্যাপে স্ল্যাবের জন্য গাছের তক্তা দিয়ে সেল্টারিং বসানো হচ্ছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় নির্মাণাধীন সেতুর নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
বড়াদাম সুরবালা স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক অরুণ কান্তি চাকমা বলেন, ‘প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছি। চলাচলের কোনো রাস্তা রাখা হয়নি। কঙ্কর, রড, বালু, পাথরের ওপর দিয়ে চলতে হচ্ছে। নির্মাণাধীন সেতুর নিচ দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় মানুষজনকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. মুমিনুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহের শনি ও বুধবার রাঙামাটি শহরে বাজারের দিন। এসব দিনে এখানে দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে যায়। সেতুটি দ্রুত শেষ করা দরকার।
এসএস ট্রেডার্সের ঠিকাদার মো. জসিম বলেন, ‘ব্রিজের কাজ আমরা দ্রুততার সঙ্গে করার চেষ্টা করছি। রাস্তা বন্ধ করে কাজ করতে হচ্ছে। বিকল্প সড়কের কোনো বরাদ্দ নেই। মানুষের কষ্ট হচ্ছে খুব এটা জানি। বড়াদামে দুটো ব্রিজের কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে একটি নির্মাণাধীন। আরেকটির পাইলের কাজ শেষ করা হয়েছে। সময় লাগবে।’ তিনি বলেন ‘এলজিইডির প্রকৌশলীরা শুক্র ও শনিবার ফিল্ডে আসেন না। সেদিন কাজ বন্ধ থাকে। এ কারণে নির্মাণকাজ দেরি হচ্ছে।’
তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রাঙামাটি সদর উপজেলার প্রকৌশলী রনী সাহা বলেন, ‘শুক্র ও শনিবার কেন বন্ধ রাখা হয় এর জবাব ঠিকাদারকে দিতে হবে। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এ কথা বলছে ঠিকাদার। আগামী বছর জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে হবে। সড়কটি পাহাড়ের ওপর এবং সরু হওয়ায় বিকল্প রাস্তা তৈরির কোনো পরিবেশ ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে সড়ক বন্ধ করে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’