হোম > ছাপা সংস্করণ

সিঁড়িতে চলবে গাড়ি!

সম্পাদকীয়

শিরোনাম দেখে খানিকটা কল্পনা করে নিতে পারেন, সিঁড়ি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে! কল্পনা করা দোষের কিছু নয়, করতেই পারেন। কিন্তু কেন বলা হচ্ছে এ কথা? জানতে হলে একটু পড়ে নিতে হবে শনিবারের আজকের পত্রিকার শেষ পাতায় ছাপা হওয়া রাঙামাটির একটি খবর। শিরোনাম, ‘গ্রামের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ সওজের’।

খবর পড়ে জানা যায়, রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ধারক দেয়াল নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এতে বন্ধ হয়ে গেছে মোনতলা সূর্যকুমার কার্বারিপাড়াবাসীর একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি। ফলে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামবাসী।

গ্রামবাসী জানাচ্ছেন, সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন মানুষের চলাচলের জন্য দেয়ালে সিঁড়ি করে দেওয়া হবে। এই সিঁড়ি দিয়ে কীভাবে গাড়ি বা অন্য যান চলাচল করবে, সেটাই এখন ভাবনার বিষয়!

মোনতলা গ্রাম থেকে আসা কাঁচা রাস্তাটি পাহাড়ি পথ বেয়ে কিচিং আদাম এলাকায় এসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। গ্রামবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে গত বছর কিচিং ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি ওই এলাকায় সড়কের ধারক দেয়ালটি নির্মাণ করা হয়। খবরের সঙ্গে সংযুক্ত ছবিটি দেখেই আঁচ করা যায়, দেয়ালটির জন্য গ্রামে ঢোকার রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে।

যদিও রাঙামাটি সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন জানিয়েছেন, কেউ দেখলে মনে করবে রাস্তাটি ব্লক হয়ে গেছে, আসলে তা নয়। তিনি আগের চেয়ে ভালো রাস্তা করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগে যে ঢালু রাস্তাটি ছিল, এটি দিয়ে নাকি সব গাড়ি চলতে পারবে না। তাঁরা যে রাস্তাটি করে দেবেন, সেই রাস্তা দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল করতে পারবে। এখন দেখা যাক, কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়। অর্থাৎ, গ্রামবাসীর ‘কল্পনা’ আর সওজের ‘বাস্তবতা’ কতটুকু মিলবে কিংবা মিলবে না, সেটাই দেখার বিষয়।

আমাদের দেশে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, উপযুক্ত পরিকল্পনা ও ভাবনা-চিন্তা ছাড়াই কিছু নির্মাণকাজ করে অর্থ ব্যয় করা হয়, যা বাস্তবে কারও কোনো উপকারে লাগে না।

যেমন, সংযোগ সড়ক না থাকলেও ব্রিজ নির্মাণ কিংবা মানুষের চলাচল নেই—এমন জায়গায়ও কোনো না কোনো অবকাঠামো তৈরি করে জনগণের অর্থ পানিতে ফেলা হয়। আবার মানুষের উপকারে আসে এমন রাস্তাঘাট কিংবা ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণেও অনীহা দেখা যায়।

আমরা বলতে পারি, আসুন, অপেক্ষা করে দেখি কী হয়। কিন্তু অপেক্ষা করার সময় কি আছে? আশা করি, সওজ কর্তৃপক্ষের টনক এখনই নড়েচড়ে উঠবে আর গ্রামবাসীর কথা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী রাস্তা বা দেয়াল নির্মাণ করে দেবে।

সিঁড়ি দিয়ে হাঁটা যায়, কিন্তু গাড়ি যে চলে না, সেটাও সওজ কর্তৃপক্ষের মাথায় থাকবে বলে আশা করা যায়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ