পর্যাপ্ত বই থাকলেও পাঠক নেই চুয়াডাঙ্গার দুটি গ্রন্থাগারেই। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আরও বেশি কমেছে পাঠক। গত কয়েক বছরে দুটি গ্রন্থাগারেই নতুন পাঠক তেমন বাড়েনি। পুরোনো সদস্যদের অনেকেই আবার দীর্ঘদিন সদস্যপদ নবায়ন করেননি।
চুয়াডাঙ্গা শহরে বড় গ্রন্থাগার রয়েছে দুটি। একটি জেলা শহরের শহীদ রবিউল ইসলাম সড়কের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগার। আরেকটি শহীদ আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগার, যেটি পৌরসভার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। চুয়াডাঙ্গা শহরের সবচেয়ে পুরোনো গ্রন্থাগার এটি। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ গ্রন্থাগার। তবে বহু আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা এখানে কম। সাপ্তাহিক শুক্রবার বাদে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে গ্রন্থাগারটি। প্রায় ৩০ হাজার বই আছে এখানে। সাধারণ সদস্যদের মাসিক চাঁদা ২০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের ১০ টাকা। পত্রিকা, ম্যাগাজিন রাখা হয় প্রায় আটটি। ২০১১ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধান নেয় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। বর্তমানে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন এ গ্রন্থাগারে।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সরকারি গ্রন্থাগারে গত এক বছরে সদস্য সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১৪ জন। ১০০ জন একসঙ্গে বসতে পারলেও কখনোই একসঙ্গে তার অর্ধেক মানুষকেও পড়তে দেখা যায় না। গ্রন্থাগারটি কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি হওয়ায় করোনার আগে অল্প কিছু শিক্ষার্থীর দেখা মিললেও এখন তা আরও কম। কিছু নিয়মিত পাঠকও ছিলেন। তাঁরা মূলত চাকরিপ্রত্যাশী অথবা পত্রিকা পড়তে আসতেন। তবে তাঁদের সংখ্যাও এখন নগণ্য।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু সাঈদ মামুন জানান, গ্রন্থাগারে স্থানীয় লেখকদের বইসহ বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিশুসাহিত্য, দর্শন, খেলাধুলা, বাণিজ্য, ধর্মীয়, ভ্রমণ কাহিনি, আত্মজীবনী, বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের মোট প্রায় ৩৭ হাজার বই রয়েছে। এ ছাড়া পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয়, সাপ্তাহিক, মাসিক, চাকরির পত্রিকাসহ নিয়মিত ১৪টি পত্রিকা রাখা হয়। লাইব্রেরির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯৫ জন।