দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শেখ আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থগ্রহণ ও চাহিদামতো টাকা না পেলে কাজ করে দেন না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। এসব ঘটনায় স্থানীয় অনেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত ২১ ডিসেম্বর ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভরত চন্দ্র মণ্ডলের করা একটি লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শেখ আব্দুস সোবহানের কাছে জমির খাজনা দিতে যান ওই শিক্ষক। কিন্তু একাধিকবার ভূমি অফিসে গেলেও অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় তাঁর খাজনার টাকা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ছাড়া গত ২৩ ডিসেম্বর কুলিয়ার আমিনুর রহমানের করা আরেকটি লিখিত অভিযোগে থেকে জানা যায়, ওই কর্মকর্তা নামমাত্র রাজস্ব দেখিয়ে দাখিলা কাটা ও ভুয়া ডিগ্রির মাধ্যমে জমি রেকর্ড করে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তা ছাড়া টাকার বিনিময়ে তার পোষ্য দালালের মাধ্যমে সরকারি ছুটির দিনেও অফিস খুলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগে আরও জানা যায়, জগন্নাথপুর মৌজায় ৪৪০ নম্বর খতিয়ানে ৩ তলা পোলট্রি ফার্ম থাকলেও তা কৃষি শ্রেণিতে খাজনা আদায় করছেন ওই কর্মকর্তা। এ ছাড়া বহেরা মৌজার প্রায় ২০ একর জমির পূর্বের তথ্য ছাড়াই নতুন খাজনা আদায় দেখিয়েছেন। আর এতে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শেখ আব্দুস সোবহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে যা বলার তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে বলব।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী ভূমি কমিশনার এবিএম খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’