হোম > ছাপা সংস্করণ

মৌসুম শুরু, ইলিশের আকাল

খান রফিক, বরিশাল

বৃষ্টি হলেও মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা নেই। বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের টুমচরে কালাবদর নদীর তীরে একাধিক জেলের মুখে এমন হতাশার কথা শোনা গেছে। ইলিশের এই আকালের প্রভাব বাজারে চরমভাবে পড়েছে। বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা জানান, নদীতে ইলিশ নেই। সাগরে নিষেধাজ্ঞা চলায় দামও বেড়েছে অত্যধিক।

মৎস্যজীবীরা সাধারণত জুন থেকে ইলিশের মৌসুম হিসাব করেন। এদিকে মৎস্য অধিদপ্তর আশা করছে, আগামী জো-তে ইলিশের দেখা মিলতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে ইলিশের সংকট দেখা গেছে। যা আছে তার দামও বেশি। কিছু খুচরা বিক্রেতা ডালায় ইলিশ নিয়ে বসে আছেন। সেখানে ক্রেতা থাকলেও মাছ কম।

মোকামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, মাছ নাই, তাই ভালো নাই। নদীর লোকাল ইলিশ নেই বললেই চলে। গতকাল ঘাটে ১০০ মণের বেশি ইলিশ আসেনি। সাগর মোহনার কিছু ইলিশ ফিশিং বোটে এসেছে। তিনি বলেন, বর্ষা এল, মৌসুমও শুরু হলো। কিন্তু নদ-নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না জেলেদের জালে। তার ওপর সাগরেও চলছে নিষেধাজ্ঞা। যে কারণে দামটা বেড়েছে।

ব্যবসায়ী মিজান বলেন, গতকাল এলসি (৬০০-৯০০ গ্রাম) সাইজের ইলিশ কেজিপ্রতি ১২০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৪০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত ১৫ দিনে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। ১২ দিন ধরে সাগরে অভিযানের কারণে ইলিশ না আসায় সব মাছের ওপরই প্রভাব পড়েছে।

এদিকে ইলিশের আকাল দেখা দেওয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। তাঁদের ভাষ্যমতে, বছরের অধিকাংশ সময়ে নিষেধাজ্ঞায় জেলেরা মাছ ধরতে না পেরে জীবন-জীবিকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বরিশাল সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদ, চন্দ্রমোহন, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জের মেঘনাঘেরা বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলেরা ইলিশ ধরায় প্রায় সারা বছর বিধিনিষেধের পর মৌসুমে মাছ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।

কালাবদর নদীতে রোজ জাল ফেলেন জেলে রিয়াজুল। কিন্তু ইলিশের এমন আকাল তাঁর চোখে পড়েনি বলে জানান।

চন্দ্রমোহন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন জানান, বর্ষা শুরু হয়েছে। অভয়াশ্রমের নিষেধাজ্ঞাও শেষ। এ জুনেই জাটকা ধরায়ও নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। সাধারণত ১ জুন থেকে ইলিশের মৌসুম হিসাব করেন তাঁরা। কিন্তু নদীতে ইলিশ মিলছে না।

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ডিম ছাড়ার সময় ২২ দিন, জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ২৪০ দিন এবং সাগরে মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে ৬৫ দিন, এই তিন দফায় মোট ৩২৭ দিন সাগর বা নদীতে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকে সরকারের। এ ছাড়া, দেশে ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, জুনে মৌসুম শুরু হলেও ইলিশ তো নেই। জ্যৈষ্ঠ গিয়ে আষাঢ়ের অপেক্ষা করতে হবে। তবে আগামী পূর্ণিমার জো-তে (৭, ৮ জুন) ইলিশ ধরা পড়তে পারে। তিনি বলেন, জুন থেকে মৌসুম ধরা হয়। কিন্তু কয়েক বছর থেকে এ সময় সাগরে নিষেধাজ্ঞা চলে। নদীতেও মাছ নেই। মোহনার কিছু ইলিশ আসছে। ড. বিমলের মতে, এখন শীতেও জেলেরা ইলিশ পাচ্ছেন। তাই ইলিশের মৌসুম সরে যাচ্ছে কি না, তা বলা যাবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ