ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এমনভাবেই দিন কাটছিল সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাড়াকান্দি গ্রামের মো. হজরত আলীর (৩৫)। স্ত্রী আর তিন ছেলেকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের তিনি নিজেই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী।
দেড় মাস আগে বড় ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে যাওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। সে সময় মহাসড়কের ওপর পড়ে যান তিনি। পেছনে থাকা আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাঁর ওপরে উঠে যায়। এতে তাঁর পাকস্থলী ও পেটের নাড়ি থেঁতলে যায়। এরপর থেকেই দুর্বিষহ জীবন পার করছেন তিনি। টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা। পরিবারটি খাবারের কষ্টে আছে।
হজরত আলীর মা সাজেদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা খুব গরিব মানুষ। তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই ছেলে কাঠমিস্ত্রি কাজ করত। সে আয়ে চলত পুরো পরিবার। এভাবেই তাঁদের সংসার চলে যাচ্ছিল দুবেলা দুমুঠো ডাল-ভাতে। দেড় মাস আগের দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেছে।
সাজেদা বেগম আরও জানান, সেখান থেকে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে রেফার করেন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচার বিনা মূল্যে করা হলেও ওষুধসহ আনুষঙ্গিক খরচ ধারদেনা করে ১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। টাকার অভাবে পরিপূর্ণ চিকিৎসা না করাতে পেরে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বাড়িতে তাঁর ওষুধের জন্য অনেক টাকা খরচ হচ্ছে, যে ব্যয় পরিবার মেটাতে পারছে না। সামনে তাঁকে জরুরিভাবে আরেকটা অস্ত্রোপচার করানো প্রয়োজন। সে জন্য আনুষঙ্গিক খরচসহ ২ লাখ টাকা প্রয়োজন।
হজরতের স্ত্রী মোছা. শাহনাজ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর স্বামীকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য টাকার প্রয়োজন। এ জন্য তিনি সমাজের বিত্তশালীদের কাছে সাহায্য চান।
হজরত আলী বলেন, তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। তাঁর ছোট তিন ছেলে নিয়ে খাবারের অভাব ও চিকিৎসা নিয়ে খরচ নিয়ে অনেক বিপদে আছেন। এ জন্য তিনি তাঁর পরিবারের খাবার ও সুচিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি, বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চান।