সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকার একটি মুদি দোকানে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়েছেন দবির আহমদ। তিনি পাঁচ লিটার তেল চাইলে দোকানদার তাঁকে এক লিটার তেল দিলেন। কারণ জানতে চাইলে দোকানদার তাঁকে বলেন, পাঁচ লিটার তেলের মজুত নেই। তাই এক লিটারের বোতল দিয়েছেন। কেন নেই-জানতে চাইলে দোকানদারের সোজাসাপ্টা উত্তর, দুদিন ধরে ডিলাররা চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছেন না।
একই ধরনের অভিযোগ করেন নগরীর আখালিয়া এলাকার কাজী ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘এক দিন-দুদিন পরপরই তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে খেয়ে বাঁচা মুশকিল হয়ে যাবে। আজ (গতকাল) সয়াবিন তেল কিনতে গিয়েছিলাম। দাম দেখে পাম ওয়েলের প্যাকেট নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে চরম বিপাকে পড়বেন আমাদের মতো মধ্য থেকে নিম্ন আয়ের মানুষজন।’
গত কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে সয়াবিন তেলের দাম। কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা সিলেটের বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এই সুযোগে সিলেটে ভোজ্য তেলের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
সিলেটের খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম বাড়ার খবরে অধিক লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে তেল কোম্পানিগুলো। ব্যবসায়ীরা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছে তেল চাইলে তাঁরা সংকটের কথা বলেন। গত ৪-৫ দিন ধরে প্রায় সব কোম্পানির সয়াবিন তেলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা তেল সংকটের কথা বলছেন।
নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার মুদি দোকানদার রাজু আহমেদ বলেন, চাহিদার তুলনায় দোকানগুলোতে তেল কম দিচ্ছেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। আর আজ তো (গতকাল) তেল দিচ্ছে না বললেই চলে। নগরীর কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেল এক লিটার (বোতল) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭২ টাকায়, পাঁচ লিটার (বোতল) বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, পাম অয়েল প্রতি কেজি (প্যাকেট) বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘ভোজ্যতেল নিয়ে কয়েক দিন থেকে কিছুটা অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই আমাদের কাছে।’