নিয়োগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জমিদাতার পরিবার দখলে নিয়েছে কলেজ। শ্রেণিকক্ষে করা হয়েছে গরু ও মুরগির খামার। কলেজ চত্বরে চলছে সবজি চাষ।
এ অবস্থা দেখে এক সপ্তাহের মধ্যে কলেজ চত্বরের যাবতীয় স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দখলদারদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও রংপুর-১ আসনের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
গতকাল মঙ্গলবার গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়াইবাড়ী কলেজ পরিদর্শনে সরেজমিনে উপস্থিত হলে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় সাংসদ রাঙ্গা কলেজ চত্বরের অবশিষ্ট সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পরামর্শ দেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দেরও আশ্বাস দেন তিনি।
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদা আক্তার বলেন, ‘মুরগি ও গরুর খামার এবং সবজিখেতের কারণে কলেজের স্বাভাবিক পরিবেশ নেই।’
জানতে চাইলে কলেজ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম লাভলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলেজ কমিটির সভাপতি ও জমিদাতা নুর আলম মারা যাওয়ায় এবং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। এতে সাবেক সভাপতির স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, ছেলে গোলাম মওলা মোর্শেদ ও মঞ্জুরুল ইসলাম কলেজে নিজেদের আধিপত্য খর্ব হয়েছে ভেবে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ থেকে শিক্ষকদের বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম সিদ্দিক মুকুলকে লাঞ্ছিতও করা হয়। ক্ষোভে-দুঃখে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।’
পরিদর্শনকালে উপস্থিত গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দিন কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা নেন। শিক্ষার্থী ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করা হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) বারাকাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাকালীন দীর্ঘ বন্ধের কবলে পড়ে কলেজের শিক্ষার্থী কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দ্বিতীয় বর্ষে ৪১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।’