হোম > ছাপা সংস্করণ

নড়বড়ে সাঁকো পারাপারে ঝুঁকি

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের টংকাবতী খালের ওপরের কাঠের সাঁকোটি নড়বড়ে। পারাপারের সময় দুলে ওঠে। এভাবেই ৪ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রথমে বাঁশের সাঁকো বানানো হয়। এটি ভেঙে গেলে পরে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেন তাঁরা। প্রতিদিন এ পথে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ঘোনা পাড়া, চৌধুরী পাড়া, সৈয়দ পাড়া হারিকুল পাড়া, নুর আহমদ চৌধুরী পাড়া গ্রামের শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

এমনকি সাঁকোটি দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া বহু শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। সুফি ফতেহ আলী ওয়াইসি মহিলা মাদ্রাসা, উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের বহু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি পেরোন।

আমিরাবাদ বটতলী মোটর স্টেশন, পদুয়া বাজারে কৃষকদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পার হতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। অসুস্থ মানুষকেও যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে সমস্যা কম হলেও বর্ষায় দুর্ভোগ বাড়ে।

এলাকার বাসিন্দা নুরুল কবির (৬০) বলেন, তিনি ‘সাঁকো দিয়ে হেঁটে যেতে না পেরে ভয়ে বসে বসে পার হই। একদিন সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম।’

সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের সাঁকোটি উঁচু-নিচু। পারাপারের সময় সাঁকোটি দোলে। বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে কলেজে যেতে হয়। টংকাবতী খালের ওপর সাঁকোর স্থানে একটি সেতু বানানো জলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর যাতায়াতে সুবিধা হবে।

উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রথমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। এটি ভেঙে গেলে পরে কাঠের সাঁকো বানানো হয়। এলাকাবাসীর ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে দ্রুত এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।’

আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ বলেন, ‘স্থানটিতে সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করা হয়েছে। মাননীয় এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’

লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইফরাদ বিন মুনীর বলেন, ‘টংকাবতী খালের ওই স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ