সাত বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন আলোচিত জোড়া শিশু হত্যা মামলার আসামি মাজেদা বেগম (৫২)। গত শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র্যাব-১১-এর সিপিসি-২-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপপরিচালক মেজর সাকিব হোসেন।
মাজেদা বেগমের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ছয় বছর বয়সী শিশু রিফাতকে গলা কেটে এবং সাত বছর বয়সী শিশু জসিমকে শ্বাসরোধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর শিশুদের আত্মীয় ইয়াসমিনকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। কিন্তু সহযোগী মাজেদা বেগম পালিয়ে যান।
র্যাব জানায়, মাজেদা বেগম সাত বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো গার্মেন্টসকর্মী, কখনো গৃহপরিচারিকা আবার কখনো ওঝার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।
র্যাব আরও জানায়, এ মাসের মধ্যেই মাজেদা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ জন্য দালালের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে লাজৈর গ্রামের ইয়াসমিন তাঁর বড় বোনের ছেলে রিফাত (৬) ও ভাশুরের ছেলে জসিমকে (৭) ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নির্জন একটি খালের ধারে নিয়ে যান। পরে ভুট্টাখেতে নিয়ে রিফাতকে গলা কেটে ও জসিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে খালের কচুরি পানার নিচে ফেলে রাখেন।
এ সময় ঘাতক ইয়াসমিনের ছেলে সিয়ামের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। তাঁরা ভুট্টাখেত ও খালের কচুরিপানার নিচ থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।