গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ছড়িয়ে পড়েছে অচেনা এক প্রাণী আতঙ্ক। প্রায়ই মানুষ ও পশুকে আক্রমণ করছে এ প্রাণী। প্রাণীটির অবস্থান শনাক্ত করতে না পারায় কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
প্রায় দেড় মাস আগে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা গ্রামে প্রথম এই প্রাণীর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর দ্রুতই পাশের গ্রামগুলো থেকে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে শুরু করে। আক্রান্ত গ্রামগুলো হলো-ইউনিয়নের তালুক কেঁওয়াবাড়ি, হরিনাথপুর, কিশামত কেঁওয়াবাড়ি, খামার বালুয়া ও দুলালেরভিটা।
গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত গত চার দিনে নতুন করে আক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন-কিশামত কেঁওয়াবাড়ি গ্রামের আফসার আলী (৫০), খামার বালুয়া গ্রামের আব্দিল হালিম (৪৫) এবং দুলালেরভিটা গ্রামের ছাব্বির শেখ (৫২)। খেতে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁরা। এরপর থেকে কৃষকেরা মাঠে কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
জন্তুটি পাগলা শিয়াল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঝোপঝাড়, জঙ্গল, ধানের জমি থেকে হঠাৎ বেরিয়ে এসে আক্রমণ করে এটি। তবে আক্রান্তদের ভাষ্যমতে, প্রাণীটি দেখতে কুকুর কিংবা শিয়ালের মতো। মাথা ও লেজ আকারে বড়। শরীরে ডোরাকাটা দাগ। শক্তিশালী জন্তুটির রয়েছে অনেক উঁচুতে লাফানোর ক্ষমতা। এক লাফে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের ঘাড়ে উঠে নাকে-মুখে কামড় বসায় প্রাণীটি।
জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন, মূলত পাগল শিয়ালের আক্রমণে মানুষ হতাহত হচ্ছেন। শিয়াল যখন জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়, তখন তারা মানুষ ও যেকোনো প্রাণীকে কামড়ায়। ফলে তারাও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতে পারে।