হোম > ছাপা সংস্করণ

বাবা দেখো, আমি নোবেল পেয়েছি

সম্পাদকীয়

এই তো কয়েক দিন আগেই স্টকহোমগামী একটি ট্রেনে বসে আছি। সন্ধ্যা হবে হবে, আমার কামরাটায় টিমটিম করছে আলো, বাইরে নিকষ অন্ধকার। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যে কজন যাত্রী রয়েছে কামরায়, সবাই ঢুলছে। আমি চুপ করে বসে ট্রেনের শব্দ শুনে চলেছি।

বসে থাকতে থাকতে ভাবতে থাকলাম এর আগে কতবার আর কোন কোন কারণে স্টকহোমে এসেছি। সাধারণত খুব কঠিন বা ঝামেলার কাজেই প্রতিবার এসেছি। ফাইনাল পরীক্ষা দিতে, অথবা পাণ্ডুলিপির প্রকাশক জোটাতে। আর আজ এলাম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার নিতে! সেটাও আমার মতে, অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ।

এবারের গোটা হেমন্তটাই আমি ভার্মল্যান্ডে আমার পুরোনো বাড়িতে ছিলাম, নিরবচ্ছিন্ন নির্জনতার ভেতর। আর এখন আমাকে এত মানুষের মধ্যে এসে দাঁড়াতে হচ্ছে। জীবনের এই চিৎকার, হুল্লোড়ে যেন কিছুটা অনভ্যস্ত আর লাজুকই হয়ে গিয়েছিলাম ওই নির্জনবাসে থাকার দরুন। আবার ব্যস্ত বিশ্বের মুখোমুখি হতে হবে ভেবে একটু দ্বিধাও তৈরি হয়েছিল।

তবে মনের গভীরে বিস্ময়াবিষ্ট এক আনন্দ ঢেউ খেলছিল এই সম্মান পাওয়ার খবরে, ভয়টাও কাটিয়ে উঠছিলাম এই ভেবে যে আমার সৌভাগ্যে আরও কতজনই-না দারুণ খুশি হবে। আমার ভালো বন্ধুরা, ভাইবোনেরা এবং সবার আগে আমার বৃদ্ধা মা, যিনি বাড়িতে বন্দী থেকেও কী খুশি, এই দিনটা দেখে যেতে পারলেন বলে।

তবে এরপরই বাবার কথা মনে পড়ায় বিষাদে ছেয়ে গেলাম। তিনি নেই। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে পারব না, ‘বাবা দেখো, আমি নোবেল পেয়েছি!’ তাঁর থেকে কেউ বেশি খুশি হতেন না এই খবরে। আমি কখনো তাঁর মতো এমন কারও দেখা পাইনি, যিনি একজন সৃজনশীল ব্যক্তি ও তাঁর রচিত শব্দের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রকাশ করতে পারে।

তিনি যদি জানতে পারতেন যে সুইডিশ একাডেমি এই মহান পুরস্কারটি আমাকে দিচ্ছে! হ্যাঁ, আমার কাছে এ গভীর আক্ষেপের যে এ কথা আমি তাঁকে জানাতে পারলাম না।

সেলমা লাগেরলফ প্রথম নারী, যিনি ১৯০৯ সালে নোবেল পুরস্কার পান।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ