বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জে সুগন্ধা নদীর ওপর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) সেতু ও সন্ধ্যা নদীর ওপর মেজর এম এ জলিল (শিকারপুর) সেতুতে ল্যাম্প পোস্ট থাকলেও আলো জ্বলে না। সন্ধ্যা হলেই সেতু এলাকায় ঘুটঘুটে আঁধার নেমে আসে, অভিযোগ পথচারীদের।
জানা যায় ২০০৩ সালে ৮ এপ্রিল যান চলাচলের জন্য সেতু দুটির খুলে দেওয়া হয়। উদ্বোধনের ১১ বছর পর ২০১৪ সালে সেতু দুটিতে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে কয়েক বছর যেতে না যেতেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখানকার বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুগন্ধা ও সন্ধ্যা নদীর ওপর সেতু দুটি নির্মিত হওয়ায় বরিশালের সঙ্গে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে বিভিন্ন বিভাগ থেকে পণ্য আনা-নেওয়া করা সহজ হয়েছে। কিন্তু ল্যাম্পপোস্টের বাতি না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই সমস্যা হয় সেতু পারাপারে। দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ ল্যাম্পপোস্টের বাতি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও পরিবহনগুলোকে। প্রায়ই ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে রাতের আঁধারে।
সেতুর পশ্চিম প্রান্তের রাকুদিয়া নতুন হাটের ব্যবসায়ী মো. আনিছুর রহমান, মো. ওবায়দুল হক উজ্জল বলেন, সুগন্ধা ও সন্ধ্যা নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে বাতি না থাকায় রাতে বখাটে ছেলেদের উৎপাত দেখা যায়।
দেহেরগতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, বেশ কয়েক বছর হয়ে গেলেও সেতু দু’টিতে স্থাপন করা ল্যাম্পপোস্টের বাতি ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ মাহমুদ সুমনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, সুগন্ধা নদীর ওপর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) ও সন্ধ্যা নদীর ওপর মেজর এমএ জলিল (শিকারপুর) সেতু দু’টিতে ল্যাম্পপোস্টের বাতি সচল করার আশ্বাস দেন।