বারো বছরের এক কিশোরের নাম রিদয়। নাম রিদয় হলেও, সে কিন্তু পুরোটাই হৃদয়হীন। তার মনে কারও জন্য একটুও দয়ামায়া ছিল না। সারা ঘরবাড়ি, মানুষ, কীটপতঙ্গ সবাইকে ভীষণ রকম জ্বালাত সে। তার বাবা-মা আমতলী গাঁয়ের প্রজা। সারা দিন খেটে মরেন। কিন্তু তাঁদের ছেলে হয়েছে ভীষণ দস্যি। কোনো কথা শোনে না। কারও কথা শোনে না। তাই কাজে যাওয়ার আগে রিদয়কে ঘরে তালা দিয়ে বন্দী করে রেখে যেতেন তাঁরা। তাতেও কাজ হয়নি।
সে ঘরে বসে বসে নষ্টামির ফন্দি আঁটতে থাকে। আমতলী গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ, অর্থাৎ আমগাছের নতুন মুকুল, কাঁচা আমের গুটি, পুকুরের চারপাশের আমরুলীশাকের সবুজ পাতা, আলের ধারে নতুন দূর্বা, সূর্যের পরশে কাঁচা পাতাগুলো সোনালি হয়ে উঠছে ইত্যাদি কোনো কিছুতেই মনোযোগ নেই রিদয়ের। তার মাথায় খেলা করে কীভাবে পাখি, পশু, কীটপতঙ্গকে জ্বালাবে সে। তার জ্বালাতনে সবাই অতিষ্ঠ।
একদিন বিচ্ছু রিদয় গণেশ ঠাকুরের পেছনে লাগল। ভীষণ রেগে গেল গণেশ। রিদয়কে এমন এক অভিশাপ দিল যে সে বুড়ো আঙুলের মতো ভয়ানক ছোট হয়ে গেল। শেষ অবধি বুড়ো আংলা হয়ে গেল।
তারপর কী হলো? জানতে হলে পুরো বইটি পড়তে হবে। লিখেছেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দাম ১৭০ টাকা। রকমারি, বইমহল থেকে এ বইটি কেনা যাবে।