ঘরের আলো-আঁধারির খেলায় আর বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য পর্দার জুড়ি মেলা ভার। বাতাস ও বাইরের ধুলাবালিও ঠেকায় পর্দা। ঘরের দেয়ালের রং, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সঙ্গে মিল রেখে বাহারি পর্দায় ঘর সাজান সবাই। পর্দার যত্ন নিতে হয় খুব খেয়াল করে।
- পর্দার কাপড় যা-ই হোক না কেন, চেষ্টা করবেন খুব ক্ষারীয় ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া এড়িয়ে চলতে। ডিটারজেন্ট কেনার সময় মাইল্ড ডিটারজেন্ট কিনবেন। এখন বিভিন্ন সুপার মার্কেটে তরল ফেব্রিক ওয়াশ পাওয়া যায়, যা খুব অল্প ব্যবহারেই কাপড় পরিষ্কার করা যায়। তাই আপনার বাজেটে খুব বেশি সমস্যা না হলে এই তরল ফেব্রিক ওয়াশগুলো দিয়ে পর্দা ধুতে পারেন।
- অবশ্যই গরম পানিতে পর্দা ধোবেন না। তাতে রং নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পর্দার ভাঁজ ও ডিজাইনও নষ্ট হতে পারে। একান্তই বেশি ময়লা হয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে ডিটারজেন্ট ভালো করে গুলিয়ে তাতে পর্দা ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর উঠিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- হ্যান্ড পেইন্টের পর্দা হলে ঘষে ঘষে ধোবেন না। তাতে রং উঠে যেতে পারে বা হালকা হয়ে যেতে পারে। মৃদু তরল ডিটারজেন্ট গোলানো ঠান্ডা পানিতে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে আলতো করে কেচে পর্দা ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই পর্দার উল্টো পিঠে আয়রন দিয়ে ইস্তিরি করবেন অথবা পাতলা কোনো কাপড় সামনের পিঠের ওপর রেখে তারপর হ্যান্ড পেইন্ট পর্দা ইস্তিরি করবেন।
- ধোয়ার আগে অবশ্যই পর্দার হুক, আংটা বা পর্দার সঙ্গে থাকা ধাতব জিনিসগুলো খুলে ওয়াশিং মেশিনে দিন। হাতে ধোয়ার ক্ষেত্রেও একই কাজ করুন।
- লেস কাপড়ের পর্দায় দাগ পড়লে সামান্য ভিনেগার বা বেকিং সোডা ডিটারজেন্টের সঙ্গে গুলে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে করে লেসের পর্দায় লেগে থাকা রং হালকা হয়ে উঠে যাবে।
- সিল্ক কাপড়ের পর্দা ধোয়ার পর বেশি চিপবেন না। তাতে পর্দা কুঁচকে গিয়ে আকার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ইস্তিরি করার আগে পর্দা ভালো করে শুকিয়ে নিন এবং একদম শুকনো সিল্কের পর্দা ইস্তিরি করার সময়ও পানি দেবেন না। তাতে পর্দায় হলুদ দাগ পড়ে যেতে পারে।
সুতি কাপড়ের পর্দা ধোয়ার পরও বেশি চিপবেন না এবং রঙিন সুতির পর্দা কড়া রোদে শুকাতে দেবেন না। সূর্যের তাপে রং হালকা হয়ে যেতে পারে। হালকা রোদে শুকাতে দিলেও পর্দার এপিঠ-ওপিঠ এক-দুইবার উল্টে দিন।