ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়। গত ১২ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পোনাবালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় নোঙর করে রাখা ‘সাগর নন্দিনী-৩’ নামের একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে।
আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিরা ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন। দগ্ধ অবস্থায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন-আশিকুর রহমান (২৫), মেহেদী হাসান (২৮), শহিদ তালুকদার (৪০), মো. পিরন (৪০) ও মো. রনি (২৭)। এ ছাড়া ঘটনাস্থলেই জাহাজের সুকানি কামরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। সব মিলে এ ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়।
বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা যায়, জাহাজে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মোট সাতজন হাসপাতালে এসেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের মধ্যে ইমাম উদ্দিন ও রুবেল নামের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন বাকি পাঁচজন মারা যান।
ঝালকাঠি পদ্মা ওয়েল কোম্পানির কর্মী আব্দুস সালাম বলেন, ‘জাহাজটি প্রায় ১৫ লাখ লিটার পেট্রল, অকটেন ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠির পদ্মা ওয়েল কোম্পানির সামনে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করা ছিল। পেট্রল ও অকটেন খালাস শেষে ডিজেল খালাসের প্রস্তুতি চলছিল। জাহাজটিতে নাবিকসহ মোট ১৩ জন কর্মী ছিলেন।’
জাহাজের আহত শ্রমিকেরা জানান, ঢাকা থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে সাগর নন্দিনী নামে একটি জাহাজ ঝালকাঠির ডিপোতে খালাসের জন্য সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে রাখে। পরে ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাজ থেকে খালাসের প্রস্তুতি নিলে পাম্প কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দ্রুত জাহাজে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কর্মরত ৮ শ্রমিক দগ্ধ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তাঁদের উদ্ধার করে।