হোম > ছাপা সংস্করণ

পণ্য কিনতে বৃষ্টিভেজা অপেক্ষা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের বাজার চড়া। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেতে টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের দীর্ঘ সারি। বৃষ্টির মধ্যে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন টিসিবির পণ্য কিনতে। এর মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন আছেন, তেমনি মধ্যবিত্তের সংখ্যাও কম নয়। গতকাল ময়মনসিংহে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, টিসিবির পণ্য কিনতে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও এই সুবিধায় পণ্য ক্রয় করতে পারছেন। মানুষ যেন ভোগান্তি ছাড়া পণ্য কিনতে পারেন, সে জন্য প্রশাসন সতর্ক আছে।

জানা গেছে, ময়মনসিংহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভর্তুকি মূল্যে জেলার ১৫৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭১ জনের মধ্যে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে ৭০ হাজার ৪০৯ জনের মধ্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এ কার্যক্রম চলবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। কাল শুক্রবার থেকে ১৩টি উপজেলায় এ পণ্য বিক্রি করা হবে।

উপকারভোগী নাদিরা আক্তার বলেন, ‘লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য ক্রয় করতে কিছুটা কষ্ট হলেও সুলভমূল্যে পণ্য হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। যে পণ্য আমরা পেয়েছি, অন্তত ১৫ দিন চলতে পারব। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়।’

আরেক উপকারভোগী আব্দুস সালাম বলেন, ‘সুলভ মূল্যে আমরা চিনি, ডাল, তেল ও পেঁয়াজ পাচ্ছি। বিশেষ করে তেলের পরিমাণটা যদি বাড়িয়ে দেওয়া হতো, তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হতো। যাহোক, বৃষ্টিতে ভিজে পণ্য ক্রয় করলেও বাজারের তুলনায় দামে কম পেয়ে বাচ্চাদের নিয়ে কয়েক দিন খেতে পারব।’

নগরীর থানার ঘাট বস্তি এলাকার বাসিন্দা ফরিদা বেগম (৬৫)। লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটেন তিনি। তিন সন্তান বিয়ে করে আদালা হয়েছেন। তাঁর খোঁজখবর খুব একটা কেউ নেন না। অনেক সময় না খেয়ে দিন পার করতে হয় তাঁকে। টানা কয়েক দিনের গরমে তাঁর কোনো আয় নেই। গত দুই দিন খাবার পাননি। আক্ষেপ করে ফরিদা বেগম বলেন, ‘যখন ছেলেমেয়েরা ছোট ছিল, তাদের নিজে না খেয়ে খাইয়েছি। আজকে তারা আয় করতে পারে বলে বউ-বাচ্চা নিয়ে অন্যত্র থাকে। আমার খোঁজ নেয় না। তাতে কোনো দুঃখ নেই। আল্লাহর পর আমার খোঁজখবর রাখছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’ ফরিদা বেগমের মতো আরও অনেকে টিসিবির পণ্য পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ডিলার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘টিসিবি পণ্য নিতে মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ রয়েছে। সকাল থেকে নারী-পুরুষ পণ্য ক্রয় করতে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে মানুষকে খুব একটা ভোগান্তি ছাড়া পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

ময়মনসিংহ টিসিবি কার্যালয়ের সহকারী কার্যনির্বাহী মাহমুদুল হাসান বলেন, শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল, দুই লিটার তেল বিক্রি করা হচ্ছে। কম দামে এসব পণ্য পেয়ে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

ময়মনসিংহ টিসিবি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী বজলুর রশীদ বলেন, ‘শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলায় ১৩ লাখ ২ হাজার উপকার ভোগীর মধ্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তা বিক্রি করা হবে। সাধারণ মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে এসব পণ্য পায় তা আমরা তদারকি করছি।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগের ফলে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, নিম্ন মধ্যবিত্তরাও এ সুবিধায় পণ্য ক্রয় করতে পারছে। ভোগান্তি ছাড়া যেনো পণ্য ক্রয় করা হয় সেগুলো সকল ডিলারকে সতর্ক করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ