চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় শরীরে আগুন লাগিয়ে এক গৃহবধূ (২২) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই নারীর শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, দুই বছর আগে সদর উপজেলা একটি গ্রামে তাঁর মেয়ের বিবাহ হয়। জামাতা পেশায় কাঠমিস্ত্রি। বিয়ের পর থেকেই মেয়ের সংসারে অশান্তি চলছিল। কিছুদিন পর জানতে পারি জামাতার আরও একটি সংসার আছে। সেই সংসারে তিন ছেলেও আছে।
ওই গৃহবধূর মা বলেন, প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে বেশি সময় দেওয়া নিয়ে গতকাল সকালে মেয়ে ও জামাতার বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে মেয়ে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তারানা আনোয়ার জানান, ওই নারীর বুক, পিঠ ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ভর্তি করেছি। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত নন। তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন জানান, এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।