রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী ও কাচপুর ব্রিজসহ বাসস্ট্যান্ডগুলোকে টার্গেট করে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে আসছিল একটি চক্র। গত চার মাসে এসব জায়গা থেকে সাড়ে চার শ মোবাইল ছিনতাই করেছে চক্রের সদস্যরা।
টিকাটুলী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৩-এর সদর দপ্তরে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মোবাইল ফোন ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ২২ জানুয়ারি চক্রের আরও ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যরা শুধু মোবাইল ছিনতাই করে না, অনেক সময় সাধারণ পথচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এ ছাড়া তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পকেটমার করে থাকে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীর (৪০), সাজু মণ্ডল সাহাজুল (৪৫), জাকির হোসেন (৩৪), রাসেল @ মিঠু (৩০) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)। তাঁদের কাছ থেকে ৪৫৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েডসহ বাটন মোবাইল ফোন ও ১৮ হাজার ৯৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সারা দেশের বিভিন্ন থানায় চক্রটির সদস্য সাজু মণ্ডলের নামে তিনটি, রাসেলের নামে দুটি ও মোক্তার হোসেনের নামে দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন তাঁরা। কিন্তু কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, আবারও অপরাধের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছেন তাঁরা।
এই চোরাই মোবাইল কাদের কাছে বিক্রি করে চক্রটি গণমাধ্যমে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চক্রটি প্রথমে মোবাইল চুরি করে। এরপর বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে মোবাইলগুলো বিক্রি করে। কারণ, দেখা গেছে অনেক নতুন মোবাইল ছিনতাই করেছে। যা ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে, অধিক দামে বিক্রি করছে। অনেক সময় সাধারণ ক্রেতারা বুঝতেও পারছেন না যে, মোবাইলগুলো চুরি করা হয়েছে। মার্কেটেও এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।