মো. নুরালম হোসেনের উচ্চতা ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি। বেশি উচ্চতার কারণে তাঁকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। ঠিকমতো পারেন না যানবাহনে চড়তে। বাসে মাথা নিচু করে কোনোভাবে উঠলেও পারেন না সিটে বসতে। করতে পারেন না স্বাভাবিক কাজকর্ম।
নুরালমের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে। তাঁর জন্ম ১০ এপ্রিল ১৯৯৯ সালে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে নুরালম তৃতীয়।
দীর্ঘ দেহের নুরালম পেশায় নরসুন্দর। তাঁর এই উচ্চতায় সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় তাঁর কর্মক্ষেত্রে। স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে না পারায় তাঁকে কাজ ছাড়তে হয়েছে একাধিকবার।
নুরালমের মা নুরজাহান বেগম বলেন, ‘তাঁর বাবাও নুরালমের মতোই লম্বা ছিল। লম্বা হওয়ার কারণে সবাই তাঁকে ন্যাবরা বলে ডাকে। নুরালম নামে কেউ তাঁকে চিনে না।’
নুরালমের স্ত্রী মোছা. তহমিনা বেগম বলেন, ‘তাঁর উচ্চতা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে তাঁর সঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেলে সবাই তাঁর দিকে চেয়ে থাকে।’
নুরালম বলেন, ‘নিয়মিত কাজ করে সংসার চালাই। তবে দেহের এই উচ্চতার কারণে অনেক কাজই করতে সমস্যা হয়। আর কাজ করতে না পারলে সংসার চালানো দায় হয়ে যায়।’