হোম > ছাপা সংস্করণ

১৪৫ কোটির টার্মিনালে ভেড়ে না কোনো লঞ্চ

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা 

যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে গত বছরের এপ্রিলে চালু করা হয় ব্রহ্মপুত্র নদের বন্ধ থাকা বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌপথ। এ জন্য গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী ও জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাটে ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় দুটি টার্মিনাল। সেই নৌপথ এখন অনুপযোগী হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে লঞ্চ চলাচল। ব্যয়বহুল টার্মিনালগুলো আসছে না কোনো কাজে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সংযোগ ঘটাতে ১৯৩৮ সালে চালু করা নৌপথটি কয়েকটি ঘাট আর নদী ঘুরে নাব্যতা-সংকটের কারণে ২০০০ সালে বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২২ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল এখানে পরীক্ষামূলকভাবে লঞ্চসেবা চালু করে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

নৌরুট সচল রাখতে উভয় পাশে দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। এ জন্য ২০১৭ সালে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরে দুই দফায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা দাঁড়ায়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই ২৬ কিলোমিটার নৌপথে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে লঞ্চ চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ।

বালাসীঘাট টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, টোল আদায়ের বুথ, বাস টার্মিনাল, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের ব্যারাক, পাইলট বিশ্রামাগার, অফিস, মসজিদ, খাবারের হোটেল, আনসার ব্যারাকসহ নানা স্থাপনা রয়েছে সেখানে। তবে অবকাঠামোগুলো জনমানবহীন পড়ে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই নৌপথে বড় লঞ্চ তো দূরের কথা, ছোট লঞ্চও চলাচল করতে পারছে না। যেখানে বড় বড় কার্গো জাহাজসহ ফেরিতে বাস-ট্রাক পারাপার হওয়ার কথা, সেখানে ছোট লঞ্চ দিয়ে শুধু যাত্রী পারাপার হওয়ায় সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। নদীতে বেশি পানি না থাকার কারণে সেটাও আবার এখন বন্ধ। ছোট ছোট নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছে যাত্রীরা।

ফুলছড়ির ঝিগাবাড়ি চরের বাসিন্দা জয়নাল বলেন, ‘চকচকে বিল্ডিংগুলো করল বড় বড় নৌকা-লঞ্চ চলাচলের জন্য। কই কিছু তো দ্যাখছি না। ধাড়ত আরও কয়েকটা লঞ্চ ছিল, তাক নাকি বেচে দিছে শুননু।’

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘টার্মিনাল দুটি অযথা পড়ে আছে। ন্যূনতম কাজে আসছে না। এ রুটে লঞ্চ-ফেরি চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছি। নাব্যতা-সংকটের দোহাই দিয়ে লঞ্চ চলাচল করা সম্ভব নয় বলে এখন দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।’

যাচাই-বাছাই না করে কাজ করা হয়েছে দাবি করে সিরাজুল বলেন, ‘যাঁরা এটা করেছেন, তাঁরা দায়িত্বশীল কাজ করেননি। প্রকল্প করার আগে সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার ছিল।’

যোগাযোগ করা হলে জেলা লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকা বলেন, নাব্যতা-সংকটের কারণে নদীপথে ডুবোচরে মাঝেমধ্যে লঞ্চ আটকা পড়ছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। চারটি ড্রেজার মেশিন সব সময় নদী খননের কাজে নিয়োজিত থাকার কথা থাকলেও এখনো তা দেওয়া হয়নি।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সম্প্রতি বালাসীঘাট পরিদর্শনকালে জানান, নৌপথটি স্থায়ীভাবে চালু রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গাইবান্ধার ঘাঘট নদের সঙ্গে সংযোগ করে লঞ্চঘাটটি স্থানান্তর করার সমীক্ষা চলছে। শুকনো মৌসুমে বালাসীঘাট সচল রাখতে আড়াই কিলোমিটার রাস্তা বানিয়ে কোচখালির চরে অস্থায়ীভাবে লঞ্চঘাট স্থানান্তর করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ