ঢাকার আশুলিয়ায় মারুফা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়া থানার নরসিংহপুর এলাকার ডেকো পোশাক কারখানার সামনের একটি বাড়ি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারুফা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার জাটিবুনিয়া গ্রামের মোস্তফার মেয়ে। তাঁর স্বামীর নাম আল-আমিন। আল-আমিন কুয়েত প্রবাসী বলে জানা গেছে। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মারুফা স্থানীয় শারমিন গ্রুপের একটি কারখানায় চাকরি করতেন।
স্থানীয় কয়েকজন নারী শ্রমিক জানান, তাঁরা সকালে উঠে কাজে চলে যান। ফিরে এসেও দেখেন মারুফা ঘুম থেকে ওঠেননি। পরে ঘরে ঢুকে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পর তাঁরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নিহতের স্বামী কুয়েত প্রবাসী। গত ৫ মাস আগে চাকরির জন্য এই এলাকায় আসেন মারুফা। দুই মাস তাঁর মামার সঙ্গে থেকে তৃতীয় মাস থেকে আলাদা বাসা নেন। সেখানে মারুফার এক দূরসম্পর্কের দেবর হাসানের যাতায়াত ছিল।
খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের দেবর হাসানকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসিব শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, পরকীয়ার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।