ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলেছে নরউইচ। গোলের সম্ভাবনাও তৈরি করেছে একাধিক। তবে কখনো ফিনিশিংয়ে দক্ষতার অভাব, আবার কখনো ম্যানইউ গোলরক্ষক দাভিদ দি হিয়াতে আটকে গিয়ে আর গোলের দেখা পায়নি নরউইচ। উল্টো গত কিছুদিনে ‘রেড ডেভিল’দের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টি গোলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিক নরউইচকে।
ঘরের মাঠে রালফ রাংনিকের ম্যানইউকে এদিন আক্রমণাত্মক ফুটবলে জবাব দিতে শুরু করে নরউইচ। ফেবারিট ম্যানইউর বিপক্ষে দাপুটে ফুটবলই উপহার দিয়েছে তারা। নরউইচের বিপক্ষে ম্যানইউর দখলে বল ছিল ৫৩ শতাংশ। এমনকি সুযোগ তৈরিতেও ম্যানইউকে টেক্কা দিয়েছে নরউইচ। ম্যানইউ অবশ্য চাইলে ধন্যবাদ দিতে পারে গোলরক্ষক দি হিয়াকে। এই স্প্যানিশ গোলরক্ষকের কৃতিত্বে অন্তত দুবার নিশ্চিত গোল থেকে বেঁচেছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের পরাশক্তিরা। সুযোগ অবশ্য এসেছিল ম্যানইউর সামনেও। অ্যালেক্স টেলেসের শট বারে বাধা না পেলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত তারা।
সমানতালে চলতে থাকা এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে রোনালদো দৃশ্যপটে আসেন ৭৫ মিনিটে। নরউইচ ডি-বক্সে রোনালদো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক টিম ক্রুলকে উল্টো দিকে পাঠিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি পর্তুগিজ তারকা। এই গোলে মজার এক মাইলফলক গড়েছেন ‘সিআর সেভেন’। ম্যানইউর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে ভিন্ন তিন কোচের অধীনে গোল করেছেন রোনালদো। ম্যাচের বাকি সময়ে এই গোল আর শোধ দিতে পারেনি নরউইচ।
এই জয়ে রোনালদোর মতো রেকর্ড বুকে নাম তুলেছেন রাংনিকও। ১৯০৩ সালে আর্নেস্ট মাংগনালের পর ম্যানইউর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে প্রথম দুই লিগ ম্যাচে কোনো গোল খাননি এই জার্মান কোচ। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও উন্নতি হয়েছে ম্যানইউর। আর্সেনালকে পেছনে ফেলে এখন পাঁচে উঠে এসেছে তারা।