হোম > ছাপা সংস্করণ

হরিণ

সম্পাদকীয়

জয়নুল আবেদিন যখন আর্ট স্কুলের দায়িত্বে, তখন বার্ষিক বনভোজনে তিনি আর্ট স্কুলের লোকজনের বাইরে শিল্পী-সাহিত্যিকদেরও নিমন্ত্রণ করতেন। ময়মনসিংহের মধুপুরে যেবার যাওয়া হলো, সেবার সঙ্গে গিয়েছিলেন জসীমউদ্‌দীন। তিনি আবার সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন আবদুল আলীমকে। আবদুল আলীম তখন কবির কাছে গান শিখছেন।

কবি জসীমউদ্‌দীনই একসময় প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ‘কবিগান হোক।’

একদিকে জসীমউদ্‌দীন, অন্যদিকে রশীদ চৌধুরী। অন্যরা ধুয়া তোলে ‘মরি হায়রে হায়...’।

কবি ধরলেন, ‘মরি হায়রে হায়, এই ছিল কপালে/ পাঁচ শ টাকার বাগান খাইল পাঁচ টাকার ছাগলে...’!

কবি গাইতে গাইতে নাচতে থাকেন। জয়নুল আবেদিন এসে সবাইকে শিখিয়ে দেন ‘কবিকে সম্বোধন করবে “ও আমার সাধের পল্লী কবিরে!” বলে।’

জয়নুল আবেদিন খুব রসিক ছিলেন। ছাত্রদের প্রতি ছিল তাঁর অদ্ভুত ভালোবাসা। কিছু শেখাতে পারলে খুশি হতেন। একজন শিক্ষানবিশকে কী করে হাতে-কলমে শেখাতেন, তারই একটি গল্প বলা যাক। কম্পোজিশন ক্লাসে সবাই আঁকছে। সেদিনের বিষয় ছিল ‘গোয়ালঘর।’ গরু আর বাছুরসহ একটা ছবি দাঁড় করিয়েছেন কাইয়ুম চৌধুরী। এ সময় ক্লাসে ঢুকলেন জয়নুল আবেদিন। ঢুকেই চোখে পড়ল কাইয়ুম চৌধুরীর ছবিটি। মনোযোগ দিয়ে দেখলেন। তারপর কাইয়ুমকে সরিয়ে নিজে বসলেন টুলটিতে। চেয়ে নিলেন পেনসিল। বললেন, ‘বুঝলে হে, গরুর সাইজ ছোট হলেই বাছুর হয় না। বাছুরের ঠ্যাং হবে হরিণের মতো।’ বলতে বলতেই এঁকে ফেললেন। আর সত্যিই মনে হতে লাগল, বাছুরটা লাফাচ্ছে!

তারপর বুঝিয়ে বললেন, ‘আঁকার আগে ভালো করে বিষয়টা দেখবা। দেখাটা যদি রপ্ত করতে পারো, তাহলে আঁকাটা সহজ হবে।’

একটু আগ্রহ নিয়েই কাইয়ুম জিজ্ঞেস করেন, ‘স্যার, সাদা কাগজে ফসফস করে কী করে মন থেকে এঁকে ফেললেন?’

হেসে জবাব দিলেন শিল্পাচার্য, ‘সাদা ক্যানভাসে, সাদা কাগজে আমি দেখতে পাই।’ 

কাইয়ুম চৌধুরী, জীবনে আমার যত আনন্দ, পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ