সখীপুরে একটি সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বানিয়ারছিট-দেবরাজ সড়কটি মাত্র ১২ দিন আগে পাকাকরণ শেষ হয়। এর মধ্যেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে কাজ শেষ করেছেন।
কালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ১২ দিন আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি শেষ করে। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হওয়ায় হাত দিয়ে টানলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ রকম ঠিকাদারকে আর কোথাও যেন কাজ দেওয়া না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আইআরআইডিপি প্রকল্পের আওতায় কালিয়া ইউনিয়নের বানিয়ারছিট বাজার থেকে দেবরাজ সড়কের এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৭ লাখ টাকা। এ কাজ পায় প্রাইম ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ দিন আগে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি শেষ করে। কাজ করার সময়ই স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বাধা দেন। কিন্তু ঠিকাদার কারও কথার তোয়াক্কা না করেননি। সম্প্রতি ওই সড়কের কার্পেটিং ওঠানোর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ওই সড়কে চলাচলকারী আমিনুল ইসলাম বলেন, কাজ শেষ করার ১০ দিন যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। কাজের সময় বাধা দিলেও ঠিকাদার কোনো কর্ণপাত করেননি। তিনি সড়কটি পুনরায় সংস্কারের দাবি জানান।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী এস এম হাসান ইবনে মিজান বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের সড়কের কার্পেটিং ওঠানো ঠিক হয়নি। এটাও এক প্রকার অপরাধ। নিম্নমানের কাজের বিষয়টি তাঁরা আমাদের জানাতে পারতেন। তবে খবর পাওয়ার পর সেখানে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছিল। কার্পেটিং উঠিয়ে ফেলা স্থানগুলো মেরামত করা হয়েছে। ওই সড়কে নিম্নমানের কাজ করা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’