পুরান ঢাকার বাদামতলী ফলের আড়তের প্রবীণ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক হাজি সিরাজুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে ফল আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণ করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস আমদানিকারক সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ডলারসংকট কাটাতে সরকার বিদেশি ফল আমদানিতে কড়াকড়ি করায় তা শাপে বর হয়েছে তাঁর জন্য। কারণ আমদানিতে বাধা পেয়ে তিনি নিজেই এখন উদ্যোক্তা হয়েছেন।
সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এক কেজি আপেলের দাম ৭০ সেন্ট থেকে মাত্র ১ ডলার। আর এই ফল আমদানি করতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৬৫ টাকা। এক কেজি নাশপাতিতে ৬৫-৭০ টাকা আর আঙুরে ৮০-৯০ টাকা শুল্ক দিতে হচ্ছে। আগে যে ফল আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল তা বেড়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে আমদানি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদেশি ফল আমদানি কম হওয়ায় দাম অনেকটা বেড়েছে। সে সঙ্গে মানুষও কম খাচ্ছে। এসব কারণে তিনি নিজেই ফলের বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। আমি দেশকে কী দিলাম। ব্যবসা করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছি। সেখানে ফল চাষ দেখে নিজেই উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হয়েছে। সবার মনে এই আবেগ থাকলে দেশ একসময় অবশ্যই উন্নত বিশ্বে রূপান্তর হবে।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার দেশে বাংলাদেশি ফলের চাহিদা রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ী। যেখানে ব্যবসা ভালো হবে সেখানেই ব্যবসা করবে। দেশি ফলের ভালো ব্যবসা হচ্ছে। তাই শতভাগ নিরাপদ ফল উৎপাদন করেই তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’
তিনি জানান, আমদানি কড়াকড়ি আমার চোখ খুলে দিয়েছে। দেশি ফল যেমন সাশ্রয়ী, তেমন সহজলভ্য। বিদেশি ফলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে দেশি ফল অনেক সস্তা।