এইচএসসি পরীক্ষায় এ বছর পাসের হারে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ জেলায় শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। তবে জেলায় এবার এইচএসসি পরীক্ষার সার্বিক ফল সন্তোষজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এ নিয়ে আছে ভিন্নমত। কেউ বলছেন, তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় মানসিক চাপ কম ছিল শিক্ষার্থীদের। তাই ফল ভালো হয়েছে। কেউ বলছেন, সব বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা গেলে পরীক্ষার ফল আরও ভালো হতো।
জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারে আমাদের মোট ৭১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৭১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭২ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। যা হোক, আমি মনে করি, সব বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হলে ফল আরও ভালো হতে পারত। কেননা, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা এসএসসিতে ততটা ভালো করেনি। কিন্তু এবারে ভালো ফল করার জন্য সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে প্রস্তুতি কোনো কাজে আসেনি।’
এদিকে, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ থেকে এবার মোট ১ হাজার ১৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে পাস করেছেন ১ হাজার ১৮২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১৮ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে ৫৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জয়পুরহাট সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কম ছিল। ছাত্রছাত্রীরা হেসেখেলে পরীক্ষা দিয়েছে। মানসিক চাপ কম থাকায় ফলও ভালো হয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, এ পদ্ধতি অটো পাসের চেয়ে ভালো। কারণ, অটো পাস দিলে শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে কষ্টে থাকতে হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার কারণে এবারে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। সিলেবাস ছিল সংক্ষিপ্ত। পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তিনটি বিষয়ে। এসব শিক্ষার্থী পরবর্তী সময়ে অ্যাডমিশন পরীক্ষায় সমস্যার সম্মুখীন হবে। কারণ, অ্যাডমিশন পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে।’