করোনা ও অতিবৃষ্টির কারণে দাম কমে যাওয়ায় অভয়নগরে লোকসানে পড়েছেন পানচাষিরা। করোনার আগে যে পরিমাণ পান ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। এ অবস্থায় পান বিক্রি করে খরচই উঠছে না বলে জানান চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অভয়নগরে পান চাষের জন্য অনুকূল পরিবেশ ও মাটির গুণাগুণ ভালো থাকায় এ উপজেলায় ২ হাজার ২০ জন পানচাষি রয়েছেন। উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে পান চাষাবাদ করে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন পান উৎপাদন করা হয় প্রতি বছর।
উপজেলার শুভরাড়া, সিদ্ধিপাশা, শ্রীধরপুর, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পান উৎপাদন হয়। এর মধ্যে বাঘুটিয়া, শুভরাড়া, দিয়াপাড়া, ভাটপাড়া, পোতপাড়া, সিঙ্গাড়ী ও রাঙ্গারহাটে পানচাষি সবচেয়ে বেশি। এই গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষ পান চাষের সঙ্গে জড়িত। এই অঞ্চলে সাধারণত ঝাল/সাচি পান সবচেয়ে বেশি হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পান যায়।