পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলায় প্রায় দেড় লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ক্যাম্পেইন ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে এই তথ্য জানান দুই জেলার সিভিল সার্জন।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানে ৬৬ হাজার ৬১৩ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৬ থেকে ১১ মাসের ৮ হাজার ৯২৬ শিশুকে নীল ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৩৮৭ শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে ওরিয়েন্টেশনে সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা এ তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন জানান, জেলার ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভার ৯৬টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ কাজে জেলার ৩০টি ইউনিয়নের ৯০টি ও পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডসহ ৯৬টি ওয়ার্ডে টিকা খাওয়ানো হবে। এ জন্য মোট ৮৩১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডা. অং সুই প্রু মারমা জানান, টিকা খাওয়ানো কার্যক্রমে ১০৯ স্বাস্থ্য সহকারী, ৯৮ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী এবং ৬২১ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। এসব কাজ তদারকির জন্য ৯০ সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করবেন। অনুষ্ঠানে বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি মনিরুল ইসলাম মুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সা সুই প্রু উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটিতে এবার ৮২ হাজার ৪৯৬ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ২৫১ শিশুকে নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু লাল ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মো. মোস্তফা কামাল।
ওরিয়েন্টেশনে বলা হয়, শনিবার থেকে জেলায় সব উপজেলার সব ইউনিয়নের মোট ১ হাজার ৩১৫টি কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ জন্য ২ হাজার ২০১ স্বেচ্ছাসেবী, ৪২৯ মাঠকর্মীসহ ২৪১ জন প্রথম সারির তদারককারী কাজ করবে।
ওরিয়েন্টেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, স্থানীয় পত্রিকা গিরি দর্পণের সম্পাদক একে এম মকছুদ আহমদ।