গাজীপুরের শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাটাপুল সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনে পড়ে ছিল এক নারীর মরদেহ। দ্বিখণ্ডিত সে মরদেহের পাশে, রেললাইনের মধ্যে কাঁদছিল তাঁর আহত মেয়ে শিশু। পরে আহত শিশুকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল বুধবার সকাল সাতটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নিহত নারীর নাম নাদিয়া (২৬) তাঁর মেয়ের নাম তানহা। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর বড় হাট্টা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. শান্ত মিয়া।
তবে এটি আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা, তা নিশ্চিত করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিশু সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই নারী।
মরিয়ম বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তিনি ওই নারীকে ট্রেন আসার আগে রেললাইনের পাশে দেখেছেন। পরে ট্রেন আসলে ওই নারী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। ট্রেন চলে যাওয়ার পর তিনি রেললাইনে ওই দ্বিখণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাঁর পাশে আহত শিশুটি কাঁদছিল।
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হারুনুর রশিদ বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে কাটাপুল নামক স্থানে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক নারী নিহত হন। তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সঙ্গে থাকা তাঁর কন্যা শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
হারুনুর রশিদ বলেন, আহত শিশুকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত মা ও আহত শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, কি কারণে ওই নারী শ্রীপুরে এসেছেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহমুদা জানান, শিশুটির হাত থেকে মাংস খুলে এসেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।