রাস্তার উল্টোদিকে সামান্য খালি জায়গা। বিকেল হলে এখানেই খেলাধুলায় মেতে ওঠে ছোট্ট শিশুরা। পাশের রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসীর যাতায়াত। অথচ এখানেই কিনা মাটি থেকে মাত্র তিন ফুট উঁচুতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের তার টানা হয়েছে। তা-ও আবার বাঁশ দিয়ে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের রায়েরবাগ হাবিবনগর খানকা শরিফ এলাকার চিত্র এটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে এমন ঝুঁকিপূর্ণ সংযোগ দিয়ে রেখেছে স্বয়ং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। ১১ হাজার ভোল্টেজের ঝুঁকিপূর্ণ এমন সংযোগের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খানকা শরিফ এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন তাঁর ১০ তলা ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মাতুয়াইল ডিপিডিসি বরাবর তিন বছর আগে আবেদন করেন। কূলকিনারা না পেয়ে সংযোগের জন্য বিদ্যুৎ অফিসের গাড়িচালক আবুল কাশেমকে ৮৫ হাজার টাকা দেন। এরপর মাতুয়াইল ডিপিডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে আনোয়ারের ভবনের ৩৬টি মিটারের জন্য ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। সেই সংযোগের একটি অংশ টানা হয় মাটির তিন ফুট ওপরে বাঁশ দিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত এক বছর ধরে ভয়ভীতির মধ্যেই এই রাস্তায় চলাচল করছি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাতুয়াইল ডিপিডিসির লোকজন খামখেয়ালি করে রাস্তার পাশে তিন ফুট উঁচুতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন দিয়েছে। আমরা চাই, নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে এটি দ্রুত সরিয়ে যথাযথভাবে সংযোগ দেওয়া হোক।’
১০ তলা বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০ লাখ টাকা দিয়ে কোনো রকমে এভাবে সংযোগ পেয়েছি। এতে ঝুঁকি রয়েছে। সেটাও আমি জানি। কিন্তু কী আর করব। বিদ্যুৎ তো লাগবে বাড়িতে।’ আনোয়ার নিজেও দাবি করেন, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সংযোগটি নতুনভাবে নিরাপদ রেখেই দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাতুয়াইল ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুহিবুল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইনটি আপাতত দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা মাটির নিচ দিয়ে তার টেনে নেওয়ার ব্যবস্থা করব।’