কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলাবাসীর হাতেহাতে পৌঁছে গেছে জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড। এ কারণে পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গড়াই নদের চরে পুরোনো এসব জাতীয় পরিচয়পত্র পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা আলামীন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমারখালীর যে সকল স্থায়ী নাগরিক তাদের পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে স্মার্ট এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করেছে শুধু তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং ২০১৬ সালের অক্টোবরে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উপস্থাপনের কার্যক্রম শুরু করে। স্মার্ট কার্ডে একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট কার্ড (আইসিসি) সংযুক্ত আছে যা চিপ কার্ড নামেও পরিচিত। স্মার্টকার্ডে এ চিপ কার্ড মেশিনের সাহায্যে রিড করা যাবে। সেখানে নাগরিকের সব তথ্য সংরক্ষিত আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইতিমধ্যে এর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে দেশের জনগণ।