চিলাহাটি-খুলনাগামী রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণির স্লিপার কোচ বা বগি খুলে রাখা হয়েছে। এতে নীলফামারী-সৈয়দপুরের যাত্রীদের রেলপথে এ রুটে চলাচলে দীর্ঘদিন থেকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তাঁরা ট্রেন দুটিতে দ্রুত কোচ সংযোজনের দাবি জানিয়েছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, দিবাকালীন রূপসা ও রাত্রিকালীন সীমান্ত ট্রেনে রয়েছে একটি করে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণির স্লিপার কোচ। যাতে রয়েছে রাত্রিকালীন ২৩টি শয়নযোগ্য আসন। ১৬ সেপ্টেম্বর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কোচ দুটি খুলে রাখা হয়।
উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বাণিজ্যসমৃদ্ধ শহর সৈয়দপুর। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রীখুলনা রুটে যাতায়াত করেন।অনুরূপ চিলাহাটি, ডোমার, নীলফামারী, পার্বতীপুর, সান্তাহার, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের যাত্রীরা ওই ট্রেন দুটিতে চলাচল করে থাকেন।
একই সঙ্গে গরমের কারণে ওই কোচের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কিন্তু টিকিট না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উচ্চশ্রেণির যাত্রীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজ কুমার পোদ্দার বলেন, ‘ব্যবসার কাজে রাতে এ রুটে প্রায় যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কোচটি বন্ধ থাকায় ভ্রমণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার আলমগীর হোসেন জানান, রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথম শ্রেণির আসনের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই কোচ খুলে রাখা হয়েছে; যা মেরামতের জন্য দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হয়েছে। প্রায় মাসখানেক থেকে স্লিপার কোচটি বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির কোচ না থাকায় ভিআইপি সিট দিতে ব্যর্থ হচ্ছি আমরা। ভিআইপি যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে আমাদের গালমন্দ করছেন।’
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রাবেয়া আলীম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দুটিতে স্লিপার কোচ নেই–ভাবতে অবাক লাগছে। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে।’ দ্রুত ওই ট্রেন দুটোতে প্রথম শ্রেণির কোচ সংযোজনের দাবি করেছেন তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই দুটি ট্রেনের কোচ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির কোচটি ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।