হোম > ছাপা সংস্করণ

পুলিশে চাকরি পেলেন ৪৪ জন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

অনামিকা মুন্ডা। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আমু বাগানের চা শ্রমিকের মেয়ে। বাগানের অনেকেই বলছিলেন, ‘লিখাপড়া না করেক বাগানটর কাজত লেগে যা বেটি।’ কিন্তু অনামিকার স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে সরকারি চাকরি করবেন। অভাব-অনটনের সংসারে অনামিকার ছোট দুটি বোনও রয়েছে। বাবা দিনমজুর আর মা বাগানে পাতা তুলে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। চারপাশের মানুষজন যখন অনামিকাকে নিরুৎসাহিত করত, তখনো ভেঙে পড়েননি তিনি।

অবশেষে অনামিকার জীবনে এলো সেই স্বপ্নের দিন। গত শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জে ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল’ পদে ৪৪ জনের নিয়োগ হয়। সেখানে অনামিকা মুন্ডাও জায়গা করে নিয়েছেন।

আবেগ আপ্লুত অনামিকা মুন্ডা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি করব। কিন্তু অভাবের কারণে ঠিকমতো পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এইচএসসি পাস করার পর পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার অবস্থা ছিল। কিন্তু অনেক কষ্ট করে চুনারুঘাট কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। অনেকেই বলত সরকারি চাকরি পেতে ঘুষ লাগে। ঘুষ দেওয়ার মতো টাকা কই পাবি। তাই লেখাপড়া না করে বাগানের কাজে লেগে যা। আমি মাত্র ১৩০ টাকা খরচ করে পুলিশে চাকরি পেয়েছি। এখন আমি আমার ছোট দুই বোনকে ভালোভাবে লেখাপড়া করাতে পারব।’

শুধু অনামিকা মুন্ডা নয় হবিগঞ্জে মাত্র ১৩০ টাকা খরচে ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল’ পদে চাকরি পেয়েছেন এমন ৪৪ জন। এর মধ্যে তরুণ ৩৭ ও তরুণী ৭ জন। তাঁদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান, যারা অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করেছেন।

এদিকে, গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনসে মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আফজাল, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এবিএম মোজাহিদুল ইসলাম পিপিএম, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চকমাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৪৪টি পদের বিপরীতে হবিগঞ্জ জেলায় শারীরিক মাপে অংশ নেন ১ হাজার ৭৬০ জন তরুণ-তরুণী। এর মধ্যে ৩৬৫ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১০৭ জন। তাঁদের থেকে ৪৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ৮ জনকে অপেক্ষমাণ হিসেবে রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মেডিকেলে কেউ আনফিট হলে তাঁদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি বলেন, ‘একটি প্রচলিত কথা রয়েছে– পুলিশে চাকরি পেতে মোটা অঙ্কের ঘুষ লাগে। কিন্তু আমরা মাত্র ১৩০ টাকা খরচে ৪৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ