শোয়ার ঘরে গলা কেটে স্কুলছাত্র জহিরুল ইসলাম সরদারকে হত্যার এক সপ্তাহেও রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় হতাশ বাদীপক্ষ। তবে পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দ্রুতই অপরাধীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজ ঘরে জহিরুলকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন মাদারীপুরের কালকিনি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই শাহীন সরদার। এই সময়েও আসামি শনাক্ত না হওয়ায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত নিহতের পরিবার।
মামলার বাদী শাহীন সরদার বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়। কিন্তু পুলিশ এই সময়েও কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এত দিনে কাউকে শনাক্ত করতে না পারার বিষয়টি দুঃখজনক। বরং থানায় তাগাদা দিলে আমাদের শান্ত থাকার কথা বলা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে কেমন বিচার পাব, সে নিয়ে সন্দিহান আমরা।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘চাইলেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। সন্দেহজনকভাবে হয়রানি করাও ঠিক হবে না। তথ্যপ্রযুক্তি আর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অপরাধীকে শনাক্ত করা হবে। আশা রাখি, দ্রুতই অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে। এই হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, তা চিহ্নিত করে মূল ঘটনা উদ্ঘাটন করা যাবে। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই।’
জানা গেছে, সকালে জহিরুল ঘুম থেকে না উঠলে তাঁর মা ছেলের কক্ষে যান। এ সময় ছেলের গলাকাটা লাশ দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে জহিরুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।