হোম > ছাপা সংস্করণ

‘১৮০০ স্প্লিন্টার শরীরে সুচের মতো খোঁচা দেয়’

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

শরীরে আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন ১ হাজার ৮০০টি স্প্লিন্টার। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার শিকার হন মাহবুবা পারভিন। সে সময় ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। বর্তমানে রয়েছেন সহসভাপতি পদে। কিন্তু এখন আর রাজনীতিতে সেভাবে মূল্যায়ন পান না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মাহবুবা পারভিন। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় নিষেধ না থাকলে যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করতাম।’

গতকাল শনিবার সাভারে কথা হয় মাহবুবা পারভিনের সঙ্গে। বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অছিলায় বেঁচে আছি। ২০১৬ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর বড় ছেলে আমার সঙ্গে বসবাস করছে। ছোট ছেলে বিদেশে পড়ালেখা করছে। সাভারেই বসবাস করেন আমার তিন বোন ও চার ভাই। প্রয়োজন হলে তাঁরাই ছুটে আসেন।’

২১ আগস্টের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেদিন কেউ ভাবেনি, আমি বেঁচে আছি। ভ্যানে করে অন্য সবার সঙ্গে আমাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশীষ কুমার মজুমদারকে আমার পরিবারের সদস্যরা ফোন করেন। তখন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে আমার লাশের খোঁজ করছিলেন। কিন্তু দেখলেন, দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে আমি শুয়ে আছি। কিন্তু স্প্লিন্টারে ক্ষতবিক্ষত দেখে হাসপাতালে ভর্তি নিচ্ছিল না। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, মাথায় তিনটি স্প্লিন্টার আছে। সেই সঙ্গে শরীরে ১ হাজার ৮০০ স্প্লিন্টার রয়েছে।’

মাহবুবা পারভিন আরও বলেন, ‘বর্তমানে অবস্থা ভালো না। শারীরিক যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারি না। শরীরে সুইয়ের মতো খোঁচা দেয়। ধর্মীয়ভাবে বিধিনিষেধ না থাকলে হয়তো আমি আত্মহত্যা করতাম।’

এখন একটাই স্বপ্ন মাহবুবার। বেঁচে থাকতে গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের ফাঁসির রায় কার্যকর দেখতে চান।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ