চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি-১ উপইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক পরীক্ষার্থীর ক্রমিক নম্বর উত্তীর্ণের তালিকায় এসেছে। গত বুধবার তাঁকে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে একটি খুদেবার্তা পাঠানো হলে বিষয়টি ওই পরীক্ষার্থীর দৃষ্টিগোচরে আসে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর পরের ক্রমের এক শিক্ষার্থী তাঁর ক্রমে ভুল করায় এমন হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর বিকেলে ডি-১ উপইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৬ নভেম্বর রাতে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ৪৯২৫৬১ ক্রমিকটি উত্তীর্ণদের তালিকায় আছে। তবে এই ক্রমিক নম্বরধারী পরীক্ষার্থী মোসাম্মত আফসারা তাসনিয়া ওই পরীক্ষায় অংশই নেননি বলে জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি চবিতে ভর্তির জন্য এ, ডি ও ডি-১ উপইউনিটের পরীক্ষার আবেদন করি। এ ও ডি ইউনিটের পরীক্ষা দিলেও একদিন পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা দিইনি। কিন্তু গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় জানানো হয় আমাকে ২০ ও ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ডি-১ উপইউনিটের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়। পরবর্তীতে মেধাতালিকায় দেখি, আমার ক্রম আছে।’
আফসানা তাসনিয়া বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘মেধাতালিকায় দেখা যায়, আমি বাংলায় পেয়েছি ১৪ দশমিক ৭৫, ইংরেজিতে ৪ দশমিক ৭৫ ও সাধারণ জ্ঞানে পেয়েছি ১৬ দশমিক ৭৫। জিপিএ নম্বরসহ আমার মোট নম্বর ৫৫ দশমিক ৪৭।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে ইউনিট প্রধানেরা যে ফল তৈরি করে পাঠান, আমরা সেটা শুধুমাত্র প্রকাশ করি।’
ওই ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা অনুসন্ধান করে এই রোলের ওএমআর শিট পেয়েছি। কম্পিউটার রোল নম্বরগুলো রিড করে। ওই রোল নম্বরের পরের রোল নম্বর আরিফুল ইসলাম নামের একজনের। তিনি পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন। আর মোসাম্মত আফসারা তাসনিয়া অনুপস্থিত ছিলেন। আরিফুল ইসলাম ৪৯৫১৬২ না লিখে ৪৯৫১৬১ লিখেন।’