হোম > ছাপা সংস্করণ

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুরে উদ্‌যাপন করা হয়েছে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ৯ মাসের যুদ্ধে পরাজিত করার দিনটির স্মরণে ছিল নানা আয়োজন। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ-

রংপুর: নগরীর মডার্ন মোড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘অর্জন’-এ ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। পরে অর্জনের পাশাপাশি ডিসির মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পুষ্পস্তবক করে।

সকাল সাড়ে ৯টায় রংপুর স্টেডিয়ামে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশেষ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে পরিবেশন উদ্বোধন করা হয়।

দুপুরে নগরীতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। এ ছাড়া বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করেছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় টাউন হলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিকেল ৪টায় রংপুর স্টেডিয়ামে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে শপথগ্রহণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

মিঠাপুকুর: জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কুচকাওয়াজ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত, নারী ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আখতার জেসমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ হাসান মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ অংশ নেন।

তারাগঞ্জ: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে দিবসটির শুরু হয়। উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রেস ক্লাব, হাইওয়ে পুলিশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে শেষে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। বিকেলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

কাউনিয়া: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কুচকাওয়াজ, শোভাযাত্রা ও শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরতসহ নানা আয়োজন ছিল।

গতকাল সূর্যোদয়ের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে এবং কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন ও কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান। পরে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

পীরগাছা: উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাব এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরে জেএন মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ও ৯ ইউনিয়নে একযোগে শপথপাঠ অনুষ্ঠিত হয়। শেষে খেলাধুলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

গঙ্গাচড়া: প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে দিবসটির শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গঙ্গাচড়া উপজেলা মাঠে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে শেষে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ১ হাজার মানুষ অংশ নেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ