চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের বাজারগুলোয় ব্রয়লার মুরগিসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। বাড়তি দামের কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে ডিমেরও।
গত কয়েক দিনে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। আর সোনালি মুরগির বেড়েছে ২০ টাকা। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিম ও মুরগির দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও এর সুফল পাচ্ছেন না তৃণমূল পর্যায়ের খামারিরা। মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
খামারি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘পোলট্রি খামার করে বছরের পর বছর লোকসান গুনছি। অথচ দাম যখন বাড়ছে, তখন এর সুফল ঘরে তুলতে পারছি না। পাঁচ বছরে খামার বন্ধ হয়েছে অর্ধলক্ষাধিক।’
এদিকে দিন দিন দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। উপজেলার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭৫-১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৫-১৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দামও দফায় দফায় বেড়েছে।
শুরুর দিকে ২১০-২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি বিক্রি হয় ৩০০-৩২০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
মতলব বাজারের ব্যবসায়ী মো. গাজী জানান, মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে খামারে সব ধরনের মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে। চলতি বছর কয়েক দফায় খাদ্যের দাম বাড়ায় অনেকেই খামারে মুরগি উৎপাদন করছেন না। এতে বাজারে দেখা দিয়েছে মুরগির সংকট।