নাটোরের লালপুরের গত বছরের ২২ কোটি টাকা লোকসান নিয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ৮৯তম আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. আরিফুর রহমান অপু।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৬ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে শতকরা ৭ ভাগ। মিল এলাকায় আখ চাষের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার একর। অবিক্রীত মজুত চিনির পরিমাণ প্রায় ২০০ মেট্রিক টন, যার মূল্য ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গত মৌসুমে মিলের লোকসান হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৭৬৬ কোটি টাকা। আখ উৎপাদনে কৃষকদের সার-বীজ বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছে। মিল এলাকায় প্রায় ৩০০টি কলে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক মাড়াই হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মিলের মাড়াই লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকে নেমে আসবে। এতে লোকসানের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
গত মৌসুমে ২ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৮ শতাংশ হারে ২৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে চিনি উৎপাদিত হয় ১৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মাঠে আখ থাকলেও কৃষকেরা মিলে আখ সরবরাহ করতে না পারায় ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে মিলের মাড়াই মৌসুম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, মিল এলাকার প্রায় ১৮ হাজার আখচাষি ৭টি সাবজোনের মাধ্যমে ৩২টি কেন্দ্রে এবং মিলগেটে আখ সরবরাহ করেন। কৃষকদের আখ কেনার অর্থ শিওরক্যাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। পাওয়ার ক্রাশার মেশিনে আখমাড়াই বন্ধ এবং উন্নত জাতের আখ মিলে সরবরাহ করা হলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।