ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সেতু আছে, কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর এলাকার সেতুটি ২৭ বছর আগে নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক হয়নি। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারছে না। এতে চার গ্রামের মানুষ এ সেতুর ওপর দিয়ে যেতে না পারায় নৌকা করে যাতায়াত করেন।
সরেজমিনে জানা যায়, সেতুর দুই পাশে পানি। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতুটি। সেতুর দুই পাশে সরু সড়ক থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক। অথচ উপজেলার বরইচারা, ষাটবাড়িয়া, হরিপুর ও পরমানন্দপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। সেতুটি প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল বলে জানান ঠিকাদার মো. আব্দুল্লাহ।
পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আঙ্গুর মিয়া অভিযোগ করেন, সেতুটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার আহ্বান জানান তিনি।
ওই এলাকার সাত্তার নামের স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় বাজার থেকে দোকানের মালামাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া যায় না। মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়।
স্থানীয় পরমানন্দপুর সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর শিকদার জানান, তিনি প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুলে যান। সংযোগ সড়কের অভাবে জায়গাটি নৌকায় পার হতে হয়।
উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, জনগণের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।
এলজিইডির উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদূর রহমান বলেন, ‘এখানে নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য সাংসদ আব্দুস সাত্তার ভূইয়া স্যারের প্রজেক্টের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। ইনশা আল্লাহ এখানে নতুন সেতু হবে।’