হোম > ছাপা সংস্করণ

আত্মহত্যায় কেন মুক্তি খোঁজা?

সম্পাদকীয়

পবিত্র রমজান মাসের রোজার শেষে আসছে খুশির ঈদ। সত্যি ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। বছরের অন্য দিনগুলো যেমনই কাটুক না কেন, ঈদের দিনটিতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস আমাদের একটি

রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদের দিনে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী দুঃখ-বিষাদ ভুলে সবাই আনন্দে মেতে উঠতে চেষ্টা করে। আসলেই কি সবাই খুশি মনে, আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারে? পারে না। আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি কিছুই সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করেনি। মুখে যে যা-ই বলি না কেন, বাস্তবতা কঠোর এবং মানুষের সুখ ও আনন্দ নির্ভর করে বাস্তবতার ওপরই।

ঈদ উদ্‌যাপনের বিভিন্ন প্রস্তুতি, কেনাকাটা, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ পালনের জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের টিকিট নিয়ে হুড়োহুড়ি কাড়াকাড়ির খবরের পাশাপাশি এমন খবরও গণমাধ্যমে ছাপা হচ্ছে, যা মনকে ভারাক্রান্ত না করে পারে না। দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি খবরের প্রতি নজর পড়ায় মনে হচ্ছে, আনন্দের সঙ্গেই যেন বিষাদ জড়িয়ে চলে।

প্রথম খবরটি হলো, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা জয়নগর ইউনিয়নের দুর্গাদহ গ্রামের আবু বাক্কার নামের ৫৫ বছর বয়সী একজন ব্যবসায়ী আমবাগানে গিয়ে গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, ঋণ পরিশোধের জন্য তাঁকে পাওনাদারেরা চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁর ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল। একজন ব্যবসায়ী টাকা ধার করে পরিশোধে কেন ব্যর্থ হলেন, তা সংবাদ থেকে জানা যায়নি। তিনি যেভাবে জীবনের দেনা-পাওনার হিসাব মেটালেন, সেটা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু কোনো উপদেশই তো আর তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।

দ্বিতীয় খবরটি হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ইমন খন্দকার নামে রূপগঞ্জের সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র মঙ্গলবার ভোরে কাঞ্চন পৌরসভার ত্রিশকানিয়া এলাকার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশাগ্রস্ত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। কয়েক মাস আগে ইমনের বাবা কাউকে না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এরপর মা ও বোনের দায়িত্ব এসে পড়ে তার ওপর। সংসারের হাল ধরতে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো শুরু করে সে। সেই রিকশাটিও সম্প্রতি চুরি হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ইমন।

ভিন্ন দুটি কারণে দুজন মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করার মানসিক দৃঢ়তা হারিয়ে দুঃখকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা সমাজে বাড়ছে। কষ্টসহিষ্ণু হিসেবে আমাদের দেশের মানুষের সুনাম আছে। দুঃখ-দারিদ্র্য-প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অভ্যস্ত বাঙালির মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কেন বাড়ছে, এর আর্থসামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক কারণ অনুসন্ধানের সময় এসেছে বলেই মনে হয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ